Relationship

সেরা ৪ টি মেয়ে পটানোর টিপস ও নিঞ্জা টেকনিক

প্রেম বিনোদনে ছেলেদের জন্য বেশ কিছু মেয়ে পটানোর টিপস এবং নিনজা টেকনিক যাতে আজকের এই আয়োজন।  ভালবাসা কিংবা বিনোদনমূলক হোক যে কোনোভাবেই আপনি চাইলে আপনার পছন্দের মেয়ে মানুষটিকে পটাতে পারেন  এই মেয়ে মানুষ পটানোর কৌশল গুলো ফলো করার মাধ্যমে।

 সেরা ৪ টি মেয়ে পটানোর টিপস

আপনি যদি অল্প বয়সী বা আপনার চেয়ে কম বয়সের কোন মেয়েকে পছন্দ করে থাকেন।  তাহলে তাকে পটানোর জন্য এই চারটি টিপস আপনাকে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

হ্যাঁ অল্প বয়সী মেয়ের সাথে রিলেশন বা প্রেম সম্পর্ক করতে হলে, আপনাকে তো একটু এক্সপার্ট হতেই হবে এবং কিছু চালাকি অবলম্বন করতেই হবে। তাছাড়া দেখবেন এরা চ্যাং মাছের মত লাফাচ্ছে,  অথচ আপনি এদেরকে কিছুতেই নিজের কব্জায় আনতে পারবেন না।  মানে আপনি তাদেরকে যতই বুঝান না কেন,  কম বয়সী মেয়েদেরকে সাধারণত চালাকি না ঘাটালে নিজের প্রেমে হাবুডুবু খাওয়ানো সম্ভব হয় না।

তাই অনেকের উপর গবেষণা প্রয়োগ করে এবং ভেবেচিন্তে এমন সেরা চারটি মেয়ে পটানোর টিপস বের করেছি, যেগুলো আপনি জানলে আপনার পছন্দের অল্প বয়সী যে কোন মেয়েকে সহজে পটিয়ে ফেলতে পারবেন। এবং খুব সহজেই আপনার সঙ্গে রিলেশন করার জন্য তাকে রাজি করাতে সক্ষম হবেন।

এমন যদি হয়ে থাকে যে আপনি অলরেডি আপনার বয়সের তুলনায় অল্প বয়সী কোনো মেয়ের সঙ্গে রিলেশনে যুক্ত আছেন; তাহলে সেক্ষেত্রেও এ সকল চারটি চালাকি আপনি কাজে লাগিয়ে তার কাছ থেকে অনেক কিছুই আদায় করতে পারবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই নিবন্ধে আমি যে চারটি কৌশল সম্পর্কে আপনাকে বলব এগুলোর প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা পরিস্থিতির জন্য,  আর এটা অবশ্যই মাথায় রাখবেন।

সুতরাং আমার এই চারটি কৌশলী আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে,  এবং আপনার সঙ্গে যেই টেকনিকটি খাপে খাপ মিলে যাবে সেটি আপনি অবলম্বন করতে পারেন।

মেয়ে পটানোর থেরাপি ও কৌশল

কৌশলঃ ০১

ধরে নিলাম আপনি কোন একজন অল্প বয়সে মেয়ের সঙ্গে রিলেশন করার জন্য চেষ্টা করছেন। কিন্তু সমস্যা হল সে ঠিকমতো আপনার সঙ্গে কথাই বলতে চায় না,  অথবা আপনাকে সময় দিতে চায় না। এমন পরিস্থিতিতে আপনার তার সঙ্গে এই চালাকিটা করতেই পারেন।

 আপনি তাকে বলবেনঃ ওগো তোমাকে আমি এতটাই ভালবেসে ফেলেছি যে, যখন তোমার সঙ্গে আমার কথা বলার খুব ইচ্ছে হয়! তখন চাইলেও তোমার সঙ্গে আমি কথা বলতে পারি না,  তখন আমি পুরো পাগল হয়ে যাই তোমার সঙ্গে এক মুহূর্ত কথা বলার জন্য। তখন কেন যেন মনে হয় না আজই তোমাদের বাসায় আমাদের বিয়ের প্রস্তাব টা পাঠিয়ে দিব!

ব্যাস! মনে করুন আপনার কাজ হয়ে গেছে,  অর্থাৎ মেয়েটা অলরেডি বুঝে গেছে যেঃ তার সঙ্গে আপনি কথা না বললে আপনার মাথা ঠিক থাকে না। আপনি যে কোন সময় হুট করে তার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারেন। 

অথবা আপনি চাইলে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এমন কিছু করতে পারেন যার ফলে আপনাদের ব্যাপারটা উভয়ের ফ্যামিলির কানে পৌঁছে যায়,  এবং তারা আপনাদের উভয়কে মেনে নিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করাতে কোন আপত্তি না করে।

মনে রাখবেন অল্প বয়সি প্রত্যেকটি মেয়েই কমবেশি তাদের ফ্যামিলিকে খুব ভয় পায়। তাই হয়তোবা এই ভয়ের ফলেই সে আপনার সঙ্গে মিলামিশা করা শুরু করে দিবে। আর আপনার সঙ্গে যদি একবার সে মিশে ফেলে,  তাহলে আপনি যেরকম হারামি তাতে মেয়ে না বটে যাবে কোথায় রে ভাই?

মেয়ে পটানোর কৌশল

কৌশলঃ ০২

পরিস্থিতি যদি এমন হয়ে যায় যে,  অল্প বয়সে কোন একটা মেয়েকে আপনার খুব ভালো লেগেছে। এবং আপনি তার সঙ্গে ইতিমধ্যেই রিলেশন করতে আগ্রহী। কিন্তু সমস্যার মূল ঘটনা হলো সে কিছুতেই আপনার সঙ্গে সম্পর্কে যেতে চাচ্ছে না,  বা রিলেশন করতে রাজি হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে এই চালাকিটা অবশ্যই কার তার সঙ্গে খাটাতে পারেন।

আপনি তাকে এইভাবে বলতে পারেনঃ  তোমাকে আমার খুব ভালো লাগে! তুমি আমার সঙ্গে প্রেম করো কিংবা না করো,  সেটা আলাদা ব্যাপার,  ভিন্ন কথা। কিন্তু তোমার সঙ্গে একটু কথা বলার ইচ্ছা হলে,  প্লিজ তুমি একটু আমার সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলিও। তাহলেই হবে, ব্যাস। প্লিজ তুমি আমাকে কথা দাও এই ছোট্ট আবদার টুকু রাখবে!

তাহলে অবশ্যই আশা করা যায় যে মেয়েটি আপনার সঙ্গে ছোট্ট আবদারটুকু অবশ্যই রাখবে। বেশ তাহলেই তো আপনার কাজ হয়ে গেল,  কেল্লাফতে।

কারণ অল্প বয়সে মেয়েরা কোন ছেলের সঙ্গে কথা বললে কয়েকদিন এর মধ্যেই তার প্রতি সে আস্তে আস্তে দুর্বল হতে শুরু করে।  এবং ক্রমশতার অজান্তেই আপনার প্রেমে পড়ে যাবে। তারমানে আপনি বসতে চাইলেন তবে অটোমেটিক্যালি শোয়ার জায়গায় এমনিতেই পেয়ে যাবেন।

অল্প বয়সী মেয়ে পটানোর টেকনিক
৪ টি মেয়ে পটানোর টিপস ও নিঞ্জা টেকনিক
৪ টি মেয়ে পটানোর টিপস ও নিঞ্জা টেকনিক

কৌশলঃ ০৩

ধরে নিলাম অল্পবয়সী কোন মেয়েকে আপনি রিলেশন করার জন্য প্রপোজ করেছেন।  কিন্তু সে কিছুতেই আপনার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গর্তে আগ্রহী না,  বা সে রাজি হচ্ছে না। অথবা এমনও হতে পারে যে সে আপনাকে মোটেও গুরুত্ব দিচ্ছে না। যেকোনোভাবেই হোক সে আপনাকে সিরিয়াসলি ভাবে নিজের জীবনের জন্য নিচ্ছে না। এমন ক্ষেত্রে আপনি তো তার সঙ্গে এই কৌশলটি অবলম্বন করতেই পারেন।

আপনি মেয়েটিকে এই ডায়লগটি বলবেনঃ তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না! তোমাকে না পেলে আমি আমার জীবনটাকে খতম করে দিব,  ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাব নিজের জীবনের থেকে। তোমাকে যদি নাই বা পাই তাহলে বেঁচে থেকে এই পৃথিবীতে আর লাভ কি!  মরে যাওয়াই এর চেয়ে অনেক ভালো।  

প্লিজ ভয় পাবেন না! আবার বোকামি করে মরার জন্য ইদুর নিধনের কোন ওষুধ কিনতে যাইয়েন না,  আপনাকে মরতে হবে না। এটা শুধুমাত্র ভয় দেখানোর জন্য আর কি,  জাস্ট ন্যাকাম।

তবে এই ন্যাকামোর ফলে যেটা হবে আর কিঃ  বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় অল্প বয়সী মেয়েরা, এমন টক্সিন মার্কা ডায়লগ শুনলে ভয়ে রিলেশন করতে রাজি হয়ে যায়।  মানে আপনার সঙ্গে প্রেম করার জন্য সেও উঠেপরে লাগবে,  এখন থেকে সে আপনাকে গুরুত্ব দিবে। মানে আপনাদের সম্পর্কটা গর্তে যাচ্ছে আর কি।

কারণ মনে রাখবেন অল্প বয়সী মেয়েরা সাধারণ অন্যান্য মেয়েদের তুলনায় একটু ভীত হয়ে থাকে,  অন্তত প্রেম রিলেশনের সম্পর্কের বিষয়ে একটু বেশি ভয় পায়।  সুতরাং ভয় কিংবা এমনিতে যে কোনভাবেই হোক একবার যদি রিলেশন করতে আপনার সঙ্গে সে রাজি হয়ে যায়,  তাহলে সেটা ধীরে ধীরে এমন রিয়েল প্রেমে পরিণত হয় যে,  আপনাকে ছাড়া মনে হয় সে আর বাঁচবেই না।

সতর্কতাঃ আমি যে ডাইলগটি বললাম এই ডায়লগ গুলো ভুলেও আপনি কখনো বড় কোন মেয়েকে দিতে যাবেন না,  তাহলে সে আপনার চালাকি বুঝে ফেলবে।  অবশ্যই আপনার চেয়ে বয়সে তুলনায় বলতে পারেন একটু ছোট বা উঠঠি বয়সী মেয়েদের  সাথে এইডা কৌশল গুলো অবলম্বন করতে পারেন।  আশা করি অনেক বেশি ফলাফল পাবেন।

আর যদি আপনার কোন বেশি বয়সী বান্ধবীকে এভাবে প্রবেশ করতে যান,  তাহলে হয়তো সে আপনার সঙ্গে মশকরা করবে।  আর যদি রক্তটা কোন মেয়ে হয়ে থাকেঃ  তাহলে তো আপনাকে মুখের উপরে বলেই দিবে যে যা কুত্তা দূরে গিয়া মর!  ৪০শা খায় না অনেকদিন থেকে,  তুই মরলে তোর চল্লিশা খাব। ( হা হা, এমনিতেই মজা করলাম আর কি,  তবে বিষয়টি সতর্কবাণী হিসেবে বলে রাখাই ভালো)।

প্রেম করার জন্য মেয়ে পটানোর উপায়

কৌশলঃ ০৪

ধরে নিলাম আপনি অল্প বয়সে কোন মেয়েকে ভালবাসেন। এবং আপনি তাকে প্রপোজ করার পরও তার মন আর আপনি গলাতে পারছেন না,  অর্থাৎ আপনার প্রতি তাকে মনোনিবেশ করতে পারছেন না কিছুতেই। মোদ্দা কথা হল আপনার প্রতি সেই মেয়েটির ভালবাসা কিছুতেই জন্মচ্ছে না। এমতাবস্থায় আপনি মেয়েটির সঙ্গে এই চালাকিটা বা কৌশলটি অবলম্বন করে দেখতে পারেন,  হয়তো বা কাজ হতেও পারে।

আপনি তাই কে এমন টাইপের ইমোশনাল কথাগুলো বলবেনঃ যেমন ধরেন,  তুমি আমাকে ভালো না বাসলেও আমি তোমাকে একাই নিজের থেকে ভালবেসে যাব। তুমি আমার দিকে তাকাও কিংবা না তাকাও,  তোমাকে একটি নজর দেখার জন্য প্রতিদিন তোমার স্কুল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকবো ঠিকই। এতে করে তুমি আমাকে যতই অপমান করো না কেন, আমার সঙ্গে যতই খারাপ আচরণ করো না কেন; আমি তবুও তোমাকে একান্ত ও নীরবে ভালোবেসেই যাবো। 

মনে রাখবেন এমন কথাগুলো বলার সঙ্গে সঙ্গে কোনো ফল পাবেন; কিন্তু কথাগুলো বলার পর প্রতিনিয়ত যখন সত্যি সত্যি আপনি এ ধরনের আচরণগুলো তার সঙ্গে শুরু করবেন।  অর্থাৎ তার স্কুল গেটের সামনে প্রায়েশি দাঁড়িয়ে থাকবেন,  তাকে দেখার জন্য তার পিছে পিছে হাঁটবেন।  তার সঙ্গে আগবাড়িয়ে দূর থেকে কথা বলতে চাইবেন। তখন কয়েকদিন যেতে না যেতেই দেখবেন যে মেয়েটি আপনার প্রেম নদীতে জল খাওয়ার জন্য উতালা হয়ে উঠছে।

 মানে সে আপনার প্রেমে পড়া শুরু করবে,  আপনাকে কংগ্রাচুলেশন। কারণ অল্প বয়সে মেয়েরা সাধারণত এমন ইমোশনাল মার্কা সস্তা টাইপের এসকল ডায়লগ শুনে খুবই ইমোশনাল হয়ে যায়।  এবং এতে করে সহজেই তাদের মন গলে যায় যে কারো ছেলের প্রতি,  যদি সে ঠিকঠাক মতো এই ডায়লগ ও অভিনয়গুলো করতে পারে।

4 নম্বর কৌশলে মেয়ে পটানোর জন্য একটা টিপস হলোঃ এ ধরনের ডায়লগ মারার জন্য এবং এ জাতীয় আচরণ তার প্রতি করার জন্য,  একটা দেবদাস মার্কা ভাব ধরবেন। আর যখন মেয়েটির সামনে যাবেন,  তখন আপনার চোখে মুখে এমন একটি ভাব ও অসহায়ত্বের ছোঁয়া নিজের চেহারায় নিয়ে আসবেন,  দেখে যেন মনে হয় আপনার বউ মারা গেছে।

ব্যাস!  দেখবেন আপনি কোন টিকেট ছাড়াই বিধবা ভাতা পেয়ে গেছে।  মানে মেয়েটি আপনার প্রেমে পড়া শুরু করেছে রে ভাই! এবং এখন থেকে আপনি মেয়েটির মন পাওয়া শুরু করেছেন,  বা তার হৃদয়কে জয় করে নিয়েছেন।

সবশেষে, সেরা চারটি মেয়ে পটানোর টিপস ও নিনজা টেকনিক।  এর মধ্যে থেকে কোন কৌশলটি আপনার ভালো লেগেছে,  বা কার্যকরী বলে মনে হয়। তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতক্ষণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। আপনাকে প্রেম জীবনে স্বাগতম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button