Relationship

সম্পর্ক নিয়ে কিছু কথা, উক্তি। মনের মানুষের আবেগি স্ট্যাটাস

পৃথিবীর প্রত্যেক দুইটি বস্তুর মধ্যে সম্পর্ক গঠিত হয়।  মানুষের মধ্যেও তেমন কিছু রিলেশনশিপ তৈরি হয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ।  তো চলুন তাহলেই সম্পর্ক নিয়ে কিছু কথা জানা যাক,  যেগুলো জানার পর আপনার রিলেশনশিপে ভালোবাসার সম্পর্ক গুলো আরো পরিপক্কতা লাভ করবে।

মনের মানুষ নিয়ে কিছু কথা

প্রেমিক প্রেমিকা কিংবা স্বামী স্ত্রী আপনাদের মধ্যে যেরকম সম্পর্কই হোক না কেনে। মৌলিক চাহিদা বাদেযেটার গুরুত্ব দেওয়া উচিত সবার আগে; সেটা হচ্ছে মনোযোগ বা এটেনশন।

যদি আপনার সঙ্গীর প্রতি আপনি যথাযথ গুরুত্ব না দেন,  তার প্রতি যত্নশীল না হন; এবং যদি এটা নিয়মিত বাড়তেই থাকে। তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকুন যে একদিন না একদিন হয়তো তাকে অবশ্যই আপনি হারাবেন!

এর কারণ ও ভুল যাই বলেন না কেন সবটাই আপনার উপর বর্তাবে। কারণ আপনি তাকে তার প্রাপ্য সময় টুকু না দিয়ে, চলমান সময় আপনি নিজেই তাকে তৈরি করছেন আপনাকে ছাড়া বেঁচে থাকার অভ্যাস্ত হতে।

আর এভাবেই যদি আপনাদের মধ্যে মনের ধরাধরি ও অন্ধকারাচ্ছন্ন বাড়তি থাকে;  তাহলে একটা সময় প্রচন্ড কষ্ট বুকে পোষে নিয়েও, সময়ের ব্যবধানে সেও আপনাকে আর আগের মতো মূল্যায়ন করবে না।

ভালোবাসার সম্পর্ক নিয়ে উক্তি

সম্পর্কের মাঝে যদি দুইজন দুইজনের প্রতি যত্নশীল ও এটেনশন না রাখেন।  তাহলে এই এডামিনেশন টুকু একটা পর্যায়ে কমে যাবে রিলেশনশিপের মধ্যে। কারণ প্রথম প্রথম কিন্তু সমস্ত কাজকর্মকে একপাশে রেখে সঙ্গীকে নিয়মিত সময় দিচ্ছিলেন আপনি। 

আর যখনই আপনাদের দুজনের চাওয়াটা পাওয়াতে পূর্ণতা পায়! তখন আমরা সব সময় যেই বড় ভুলটা করে থাকি,  সেটা হল আমরা ভাবি যেতুর এখন আর আগের মত ন্যাকামি করার সময় আছে নাকি? যে ভালোবাসে সে এমনিই থাকবে…। সত্যি কথা বলতে আমাদের রিলেশনশিপ বিচ্ছেদের ঘটনায় তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে ভুলটা শুরু হয় এখানেই।

আমরা যদি ভালোবাসাকে চারাগাছের সঙ্গে তুলনা করে মেনে চলতাম;  তাহলে কখনোই পৃথিবীর কোন মানুষের ভালোবাসা নষ্ট হয়ে যেত না।  সম্পর্কগুলো বিচ্ছেদের ঘটনায় রূপ নিত না।  কারণ চারা গাছের প্রতি যেমন নিয়ম করে প্রতিনিয়ত যত্ন নিতে হয়; ঠিক তেমনিভাবে সম্পর্ক গুলোরও প্রতিনিয়ত একটু একটু করে হলেও যত্ন নিতে হবে।  প্রচণ্ডভাবে দুজন দুজনকে ভালোবেসে আকড়ে ধরতে হবে।

হয়তোবা জীবনের কঠিন সময় এসে,  অনেক ক্ষেত্রেই মন কষাকষি বা ভুল বুঝাবুঝির কারণে অভিমান ও অনুভূতিগুলো বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে। ঝড় বাতাস বা অন্য কিছুর মাধ্যমে সম্পর্কের মধ্যে একটু টানপূরণ লাগতেই পারে; তখন যদি খুব করে আমরা দ্বিগুণ পরিমাণে পরস্পরের প্রতি যত্নশীল ও ভালবাসা প্রেমী হয়ে যাই।  

তাহলেই কিন্তু আমাদের ভালোবাসা গুলো চিরকাল অটুট থাকার মত বন্ধন তৈরি হয়ে যায়।  কিন্তু নাহ!  নিজের ইগুর কারণে আমরা তা হতে দেই না,  নিজেরা পরিবর্তনশীল হতেও চাই না।

সম্পর্কের মধ্যে যখন টানাপোড়ন শুরু হয়ে যায়;  তখন যদি আমরা পরস্পরকে অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি।  দুইজন দুইজনকে আরো বেশি গুরুত্ব দেই;  তাহলে কিন্তু সম্পর্কগুলো আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। 

 ঠিক গাছের চারা আস্তে আস্তে যেমন যত্ন করতে করতে অনেক দিন পর যখন মাটির গভীরের শিকর ছড়িয়ে যায়, এবং ডালের শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে তা প্রকৃত একটি শক্তিশালী গাছে রূপ নিবে। তখন দেখতে পাবেন মহী রুহু;  সব মহিমায় সেই উদ্ভাসিত শক্তিতে রূপান্তরিত হবে।

প্রকৃত ভালোবাসা ও ঠিক এমন হওয়া উচিত;  দুজন দুজনার প্রতি নিয়মিত যত্নশীল হওয়া দরকার। একটা সময় বহু বহু দিন বছর পেরিয়ে যখন বুকের হৃদয়ের জমিনে, ভালোবাসার শিকড় ছড়িয়ে যাবে আপন মহিমায়। তখন আর অ্যাটেনশন চাই বলে চিৎকার করে কাঁদতে হবে না!  তুমি আমার প্রতি যত্নশীল হও আরো এই বলে আর অভিযোগ করা লাগবে না। 

দেখবেন এমনিতেই নিজেদের মধ্যে কেয়ারলেস এবং যত্নশীলতার প্রবৃদ্ধিটা বৃদ্ধি পেয়েছে।  এবং সুখ-সমৃদ্ধির ভালোবাসায় নিজেরা দিন যাপন করতে পারছেন  হৃদয় উল্লাসে।

সম্পর্ক বিচ্ছেদ নিয়ে কিছু কথা

যাকে আপনি ভালোবাসেন;  তাকে প্রচুর সময় দিন।  তাকে অন্তত একটু বুঝান যে তিনি আপনার কাছে কতটা মূল্যবান।  কারণ বেশিরভাগ সম্পর্ক গুরুর বিচ্ছেদ ঘটে পরস্পরের প্রতি যত্নশীল না হওয়ার কারণে,  নিজেদের মধ্যে কিছু কোয়ালিটি টাইম উপভোগ না করার কারণে।

আপনারা যে উভয়ে দুজনকেই ভালোবাসেন,  তা কিন্তু শুধু অনুভবে বুঝার ক্ষমতা থাকলেই চলবে না। বরং ভালোবাসা কে উন্মুক্ত ভাবে প্রকাশ করতে হবে।  লোক লজ্জার কিছু হয়ে কখনোই দ্বিধাবোধ করবেন না!  আরে আপনি যখন ভাল কাজ করবেন,  সফলতার পথে হাঁটবেন;  তখন এক শ্রেণীর লোক তো আপনাকে দেখে নাক ছিটকাবেই।

 ওই যে বলে না? পাছে লোকে কিছু কথা বলে! সেই পাছে লোকে কিছু কথা বলার কানপড়া শুনে যদি নিজেদের মধ্যে দ্বিধা দ্বন্দ্ব ভোগেন,  ভালোবাসাকে উন্মুক্তভাবে নিজেদের পরস্পরের মধ্যে প্রকাশ না করেন!  তাহলে বাকি সবাইকে আপনি,  নিজেদের ভালোবাসার মানুষটাকে একটা সময় হারাবেন।  হয়তোবা শরীর থেকে,  অথবা হৃদয় থেকে।

সম্পর্ক বিচ্ছেদ নিয়ে কিছু কথা বলতেই হয়!  কারণ অধিকাংশ সম্পর্ক গুলো বিচ্ছেদে গিয়ে গড়ায়,  নিজেদের মধ্যে সুনিপুণ না হওয়ার কারণে। আমি বলছি না যে আপনাদের কি নিপুণ ও নিখুঁত হতে হবে ভালোবাসার মধ্যে!  ব্যাপারটা ঠিক এরকম নয়।  বরং ভুল বুঝাবুঝি মান অভিমান এবং হাসি কান্নার মাঝে,  দিনশেষে দুজন দুজনের প্রতি প্রায়োরিটি দেখাবেন। 

 অনেকটা বলতে পারেন পৃথিবীর সকল মানুষ যদি আপনাদের বিপক্ষে থাকে।  ঠিক আপনারা দুজন দুজনের প্রতি ততটাই শক্তিশালী ও অটুট থাকবেন।  দেখবেন পৃথিবী একসময় নিস্তব্ধ হয়ে যাবে,  নত হয়ে যাবে আপনাদের ভালোবাসার অলৌকিকতার কাছে। বিলীন হয়ে যাবে সে সকল নাক  ছিটকানো বেসামাজিক লোকেদের ভিড়।

তবে যাই হোক।  দিন সূর্যো যদি তাকে আপনি ভালবাসতে ও পাশাপাশিতে ক্লান্ত হয়ে যান!  তাহলে আপনার জন্য রইল সমবেদনা,  আপনি ভালোবাসায় ব্যর্থ!  আপনি ভালোবাসাবাসীর যোগ্যতাই রাখেন না। আপনি প্রেমিক প্রেয়সী হওয়ার কোন অবস্থানের দাবিদার নয়।

সম্পর্ক নিয়ে কিছু কথা

(আবেগী স্ট্যাটাস) সম্পর্ক নিয়ে কিছু কথা ও উক্তি।
(আবেগী স্ট্যাটাস) সম্পর্ক নিয়ে কিছু কথা ও উক্তি।

প্রিয়তম সাথে আপনার সম্পর্ক গুলো তখনই টিকে থাকবে।  যখন আপনি তাকে বুঝতে শিখবেন,  তাকে জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবেন। সকল রকমের ক্লান্ত তা ও অজুহাতের উসিলা বাদ দিয়ে; যদি আপনি সময়টাকে অনেক বেশি প্রাধান্য দিতে পারেন। তাহলে আপনার প্রতি তার ভালোবাসার কোন কমতি থাকবে না।  সে আপনাকে মনে প্রাণে নিখুঁতভাবে গেঁথে নিবে।

এভাবেই যদি দুজন দুজনকে আকড়ে রাখতে পারেন,  তাহলে এরকম সম্পর্কের মাঝে ব্যর্থতা তো দূরে থাক অবহেলাগুলোও ভয়ে পালাবে। 

মনে রাখবেন সম্পর্কের মাঝে সময় জিনিসটা বড্ড অদ্ভুত রকমের।  যা আপনার প্রিয়জনকে বা সঙ্গীকে না দিলে পরস্পরের মধ্যে অবহেলার ঝাঁক ঝেঁকে বসবে। প্রতিনিয়ত এই অবহেলা গুলো গারো ও ঘনত্ব রূপে ধারণ করবে। 

সুতরাং নিজেরা স্বামী স্ত্রী,  প্রেমিক প্রেমিকা,  কিংবা ঘনিষ্ঠ কোন সম্পর্কে দুজন পরস্পরকে যতটা পারেন সময় দিতে চেষ্টা করুন। তাহলে নিশ্চয়ই ভালোবাসাগুলো আপনা আপনি থাকবে।  কেউ কারো প্রতি অভিযোগ করার কোন কারণই খুঁজে পাবেন না।

ভালো থাকুন,  তাকে ভালো রাখুন।  সম্পর্ককে সময় দিয়ে বাঁচিয়ে রাখুন।  সময় থাকতে যৌবন জীবিকা অর্জনের পাশাপাশি কোয়ালিটি টাইম ইনজয় করুন।  নিজেদেরকে পরস্পরের প্রতি আকর্ষিত করে গুরুত্বহীন,  পরস্পরের চাহিদা সর্বদা বোঝার চেষ্টা করুন।  সবার আগে প্রিয় মানুষটাকেই সাপোর্ট করুন।

ভালোবাসার সম্পর্ক নিয়ে স্ট্যাটাস

স্বার্থের এই দুনিয়াতে,  বর্তমানে সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। যদি একবার এরকম সত্যিকারের ভালোবাসা পেয়ে থাকেন;  তাহলে একে নিজের জীবনের মত মূল্যবান মনে করে আঁকড়ে ধরে রাখুন।  যত ঝড় ঝাপটা আসুক না কেন,  দিনশেষে আপনারাই সুখী হবেন। শুধু সময়ের অপেক্ষা করুন…। ধৈর্য ধারণ করে অন্ধকার শেষে নতুন সূর্যের আলো উঠার অপেক্ষার প্রহর গুনুন।

সমবয়সী সম্পর্ক নিয়ে কিছু কথা ও অসাধারণ উক্তি

আজকাল সমবয়সী সম্পর্ক ব্যাপারগুলোকে লোকজন পজেটিভ নেওয়ার চাইতে অধিকাংশ সময় নেগেটিভ ভাবেই নেয়। মানুষের চিন্তা চেতনার এতটাই অধঃপতন হয়েছে যে;  সমবয়সী সম্পর্ক কথাটি শুনলে সবার আগে যে চিন্তাটি অধিকাংশের মাথায় ঘুরপাক খায়,  তা হলে, সেম এইজের রিলেশনশিপ বা সমবয়সী সম্পর্কের কোন ভবিষ্যৎ নাই।  কোন বিউটিফুল ফিউচার নাই।

কিন্তু বিপরীত দিকে,  বাস্তবতার দিকে তাকালেঃ  দেখা যায় সমবয়সী সম্পর্কগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনেক সুন্দর হয়।  আসলে রিলেশনশিপ বা প্রেম-ভালোবাসা অথবা যে কোন সম্পর্ক সুন্দর হওয়ার জন্য প্রয়োজন দুজন দুজন ব্যক্তির সুন্দর দুটি মন।

যদি পরস্পরের হৃদয় স্বচ্ছ বালুকণা  সূর্যের তীব্র আলোতেও চিকচিক করে;  এবং রাতের জ্যোৎস্নার চাঁদের আলোতে ঝিকিমিকি করে। তাহলে দুজন দুজনকে বুঝতে অনেক সুবিধা হয়। হ্যাঁ নিজেদের মধ্যে ঝড় তুফান তো প্রত্যেকটা সম্পর্কতেই আসে,  কিন্তু সমবয়সীদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঝগড়া বিবাদ এর মাত্রা একটু ভিন্ন দিকে পরিচাল।  অর্থাৎ যত তাড়াতাড়ি ঝগড়া বাধে,  ঠিক তত তাড়াতাড়ি তাদের মধ্যে আবার মিলন ঘটে যায়।

সমবয়সী সম্পর্কের প্রকৃত বাস্তবতা কি জানেন?  কেন এ ধরনের ভালোবাসা গুলো চিরকাল টিকে থাকে!  কারণ সমবয়সীদের সম্পর্ক মানেঃ কারণ সমবয়সীরাই একসাথে পাশাপাশি হেঁটে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসির মাধ্যমে, একটি অসম্ভব সুন্দর মুহূর্ত তৈরি করতে সক্ষম হয়।  দুজন  উভয়কে  এক অনন্য সৌন্দর্যের হাসি উপহার দিতে পারে,  যা অন্যান্য সম্পর্কে সঠিকভাবে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

সমবয়সীদের সম্পর্কতে,  যেমন ন’স্টা*ল*জিক এর মুহূর্ত থাকে।  তেমনি ভাবে সমান হারে রোমাঞ্চকর মুহূর্তগুলো থাকে। 

আচ্ছা!  সমবয়সীদের কথা বাদ দিয়ে যদি এরকম হয় যে মেয়ের চাইতে ছেলের বয়স বেশি।  অথবা স্ত্রীর চাইতে স্বামীর বয়স তুলনামূলক  ৪, ৫ কিংবা ৭ বছর বেশি! তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই স্ত্রীকে তার স্বামীর কথার মাধ্যমে ধরে ধরে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে বুঝাতে হয়।  যা নিজেদের মধ্যে অন্তত বন্ডিং তৈরি করতে পারে না।

কি বিশ্বাস হচ্ছে না?  তো চলুন একটা উদাহরণ দিয়ে আপনাকে বোঝাই! একদিন স্বামী স্ত্রী নামক একটি কাপল কোন এক পার্কে ঘুরতে গিয়েছে।  যেখানে রয়েছে অসংখ্য নাগরদোলা,  ফুলের দোলনা এবং রঙ্গমঞ্চে সাজানো বিভিন্ন রকমের ফুলবাগান।

তো আগেই বলেছি স্বামী তার স্ত্রীর চাইতে পাঁচ থেকে সাত বছরের বেশি সিনিয়র।  হঠাৎ পার্কে গিয়ে স্ত্রীর দোলনায় দোল খেতে মন চাইলো। মনে হচ্ছে যেন দোলনাটাতে এখনই লাফ দিয়ে স্ত্রী উঠে যাবে যাবে এরকম অবস্থা!  মানে খুবই আগ্রহের সাথে সে দোলনায় দোল খেতে চাচ্ছে।

স্ত্রী যখন,  স্বামীর কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার জন্য তার মনের অব্যক্ত কথাটি স্বামীকে জানায়। তখন স্বামী হয়তোবা অধিকাংশ সময় জ্ঞানমূলক সাজেশন দিয়ে বলবেঃ  এখন দোল খেলে লোকে বলবে ভালোবাসার শো অফ করছে। অর্থাৎ পাছে লোকে মন্দ বলবে।

সমবয়সী বন্ধু সম্পর্ক নিয়ে কিছু কথা ও ভালোবাসার বাস্তব রেখাচিত্র, যা সত্যিই দারুণ!

ডিফারেন্ট এইট বা বয়সের তারতম্যের কারণে স্বামী স্ত্রী অথবা যেকোনো সম্পর্কের মাঝে/ এভাবেই নীরবে ঘচে যায় প্রিয় মানুষের অনেক রকমের বিভিন্ন ইচ্ছা। কিন্তু অপরপক্ষে সমবয়সী কাপড় গুলোর ইচ্ছাগুলো প্রায় একই রকম হয়ে থাকে!  অর্থাৎ তাদের উভয়ের মনের মধ্যে একটি ইচ্ছায় যেন কেমন ছেলে মানুষের মতো খেলতে থাকে,  বলতে থাকে আগ্রহের প্রবল দোলনা হৃদয়ে গভীরে।

যেখানে বয়সের ব্যবধানের স্বামী তার স্ত্রীকে দোলনায় দোল খেতে দিল না,  লোকে কিছু বলবে এ ধরনের অজুহাত দেখিয়ে।  সেখানে সমবয়সী সম্পর্কের স্বামী হলে;  পাছে লোকে মন্দ কথা বলবেঃ  এ ধরনের জ্ঞানের কথা বাদ দিয়ে,  সবগুলোকে লাপাত্তা করে স্ত্রীকে নিয়ে দুজনেই চুট করে লাফ দিয়ে উঠে বসতো।

আসলে বৈবাহিক সূত্রে বন্ধনকৃত সম্পর্কের মাঝে বয়স উচ্চতা কিংবা ওজন ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়! যতটা গুরুত্বপূর্ণ পরস্পরকে বোঝাপড়া এবং দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠা।

কারণ বিবাহে কি আপনি মানুষের সঙ্গে করবেন! কখনো বয়স উচ্চতা কিংবা ওজনের সাথে নয়।  কারণ যেই মানুষটাকে আপনি এই তিনটা জিনিস দেখে বিবাহ,  অথবা তার কেরিয়ার সুখ্যাতি ও সাফল্য দেখে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হলেন।  সেই মানুষটার খ্যাতি প্রতিপত্তি কিংবা উচ্চতা ওজন কোনটাই একসময় ঠিকমতো থাকবে না!  বয়সের ভারে তার রূপ লাবণ্য ওজন উচ্চতা সবকিছুই শেষ হতে থাকবে।

তখন আপনাদের মধ্যে সুসময় উপভোগ করার মতো আর কিছুই থাকবে না।  কিন্তু যদি আপনাদের সমবয়সীদের মধ্যে বিবাহ হয়,  তাহলে দেখবেন দুজনেই যেমন কোয়ালিটি টাইম ইনজয় করতে পারবেন।  তেমনি ভাবে শেষ বয়সে গিয়েও নিজের মধ্যে তেমনি ভাবে শেষ বয়সে গিয়েও নিজের মধ্যে ঠিক যৌবনের মতো করেই কোয়ালিটি টাইম ইনজয় করতে পারবেন। 

হয়তোবা আপনাদের রূপ লাবণ্য,  ওজন উচ্চতা ও শক্তির অবক্ষয়  হতে পারে।  কিন্তু সুসময় উপভোগ করার মুহূর্ত শেষ হবে না। কারণ জীবনের সেই জৈবনিক চাহিদার শুরু থেকেই,  নিজেদের মধ্যে কোয়ালিটি টাইম বোঝাপড়া ও বন্ধুত্বের সম্পর্কটাকে অনুসরণ করে আসছেন।  যা আপনাদের বৃদ্ধ বয়সকেও একসাথে উপভোগ করার সুন্দর মুহূর্ত এনে দিবে।

বিশেষজ্ঞদের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে,  যারা বিবাহের পূর্বে একে অপরের বন্ধু ছিল। পরবর্তীতে তারা বৈবাহিক সুত্রের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছে।  অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারাই সবথেকে বেশি খুশি ও আনন্দিত হয়েছে সাংসারিক জীবনে।

মূলত সম্পর্কের মধ্যে বয়স নামক বিষয়টা কখনো পাত্তা পায় না।  এজন্য ভালোবাসার সম্পর্ক গড়তে গেলে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি দরকার,  সেটা হলো পরস্পরের প্রতি বন্ধুত্ব এবং মনের মিলন।

ইতিকথাঃ

পরিশেষে, সম্পর্ক নিয়ে কিছু কথা বলতেই হয়;  সেটা হলঃ  যে আপনাকে বুঝতে পারবে,  যার সাথে আপনি নির্দ্বিধায় সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন। সেই মানুষটাকে ভালোবাসার পর,  অবশ্যই তাকেই বিয়ে করা উচিত। চিরকাল অটুট থাকুক, সাগৌরবে মহিমান্বিত হোক বিশ্বস্ত ভালবাসার সম্পর্ক গুলো। শুভকামনা রইল।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button