Other

বিশ্বাস নিয়ে কিছু কথা। বিশ্বাস ছাড়া ভালোবাসা হয় না উক্তি

ভালোবাসা কিংবা বন্ধুত্বের জন্য সবার প্রথম প্রয়োজন বিশ্বাস।  আর সেই বিশ্বাস নিয়ে কিছু কথা ও উক্তি সম্ভার নিয়েই আজকের আয়োজন। যেমনিভাবে বিশ্বাস ছাড়া ভালোবাসা হয় না,  তেমনি একজন বিশ্বাসঘাতক বন্ধু থাকলেও হৃদয়ের ভিতর ছাড়খাড় হয়ে যায়। এই আর্টিকেলে অন্ধবিশ্বাস নিয়ে উক্তি এবং বিশ্বাস ভাঙ্গার ফলে কি পরিণত হতে পারে সেরকম কিছু প্রবাদ বাক্য ও জ্ঞানীদের বাণী আলোচনা করেছি।

চলুন জেনে নেয়া যাক বিশ্বাস নিয়ে বিখ্যাত জ্ঞানীদের কথা এবং বিশ্বাসঘাতকতার কুফল ও অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে উক্তি।

বিশ্বাস ছাড়া ভালোবাসা হয় না

কারো কাছে বিশ্বাসটা খেলার মতো, আর কারো কাছে এই বিশ্বাস শব্দটা সারা জীবনের একটি মূল্যবান সঞ্চয়। কেউ কেউ বিশ্বাস করতে ভয় পায়,  আর কেউ হয়তো বা বিশ্বাস করে জীবনের শেষ পর্যন্ত একসাথে একই পথে হেটে যেতে চায়।

ভালোবাসা ও সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।  যা কেউ সত্য বলে বিশ্বাস অর্জন করতে গিয়ে বেঈমানের নামে নাম লেখায়। কেউ হয়তোবা কারো কাছে বিশ্বস্ত হতে গিয়ে জীবনের গল্পটাই শেষ করে দেয়। পাড়ি জমায় অনন্তকালের সেই ওপারের দুনিয়ায়।

বিশ্বাস নিয়ে কিছু কথা ও উক্তি

আপনি আমি এবং আমরা সকলেই জানি ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের মধ্যে  কিংবা যেকোনো সম্পর্ক গঠনের ক্ষেত্রে বিশ্বাস অবশ্যই  ভাবে জড়িত। অর্থাৎ সুন্দর একটা সম্পর্ক গড়ে তোলা সহজ কোনো বিষয় নয়, এই পৃথিবীর অন্যান্য কঠিন ও দুঃসাধ্য কাজগুলোর মধ্যে শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াও অন্যতম খুবই কঠিন একটি কাজ হল মানুষের বিশ্বাস অর্জন করা ও  অর্জিত বিশ্বাসটুকু নিয়ে চিরজীবন বেঁচে থাকা।

পৃথিবীর আদি লগ্ন থেকেই কোন সুন্দর সম্পর্কই সহজে প্রতিষ্ঠিত হয় না,  যেকোনো সফল ও মাধুর্যময়ী সম্পর্কের পিছনে থাকে অনেক স্মৃতি অনেক বেদনা এবং  বিসর্জন ও ত্যাগ তিতিক্ষার সুপ্ত ইতিহাস। অথচ এই সুন্দর সম্পর্কের ফাটল ধরাতে শুরু করে যখন  সম্পর্কের কেউ একজন, তখন সে নিজের বিশ্বাস ও ভালোবাসা টুকুকে ভুলে গিয়ে অপর মানুষটাকে মিথ্যা বলা শুরু করে অনবরত।  সম্পর্কের মাঝে শুরু হয় এক অভিনয়ের অবলীলার খেলা। 

আপনি যখন আপনার বিপরীত  পাশের মানুষটার কাছে মূল্যহীন হয়ে যাবেন,  কিংবা আপনাদের মধ্যে সে দূরত্ব সৃষ্টি করতে চাইবে।  তখন সে মিথ্যা ও বানোয়াটির অভিনয় ও নাটকীয় খেলায় মত্ত হয়ে উঠবে।  কিংবা কোন কিছু লুকানোর চেষ্টা করবে অনবরত,  তখন না আগের মত ওই মানুষটাকে আর বিশ্বাসই করা যাবে না।  কোথাও না কোথায়ো একটা দূরত্ব সৃষ্টি হতে থাকবে দুজনের সম্পর্কের মধ্যে।

আপনার জীবনের সঙ্গে যদি এরকম কোন অযাচিত ঘটনা ঘটেই থাকে,  তাহলে হয়তো যেমনটা প্রথমবার আপনি তাকে বিশ্বাস করেছিলেন।  সেই বিশ্বাসটা তার প্রতি আর জন্মাবে না।  কোথাও না কোথাও একটা শূন্যতা থেকেই যাবে।

বিশ্বাস ভাঙ্গা নিয়ে কিছু উক্তি

আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের চলার পথে কত শত নতুন মানুষের সঙ্গে আমাদের জীবন যাপন ও একসাথে চলা শুরু হবে,  তার কোন লিপিবদ্ধ তালিকা নেই। তবে রিলেশনশিপ বা সম্পর্ক গঠনের ক্ষেত্রে বিশ্বাস যে কোন সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি বা খুঁটি।

যেমনি ভাবে যে কোন ভবন কিংবা বাড়ির খুঁটি যদি নড়্বর হয়ে যায়,  সে দালানকোঠা ভবন কিংবা বাড়ি যেমন স্থির থাকতে পারে না তখন। ঠিক তেমনিভাবে একবার বিশ্বাস ভঙ্গ করলে এবং অর্জিত বিশ্বাসে আঘাত হানলে সম্পর্কটা না আর বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। এ কথাটা আমাদের প্রত্যেকের মনে রাখা উচিত।

জৈনিক কবি বলে গিয়েছেনঃ স্বাধীনতা অর্জন করার চাইতে রক্ষা করা কঠিন।  আমি মনে করি এই উক্তিটি মনের স্বাধীনতা ও ভালোবাসার ক্ষেত্রেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।  অর্থাৎ বিশ্বাস অর্জন করার সহজ হলেও তা রক্ষা করা অনেক কঠিন। 

চলার পথে নিত্য পথযাত্রায় আজকাল চারপাশে আপনি অনেক মানুষ পাবেন।  কিন্তু তাদের মধ্যে সবাইকেই বিশ্বাস রক্ষা করে চলার মত ব্যক্তি হিসেবে খুঁজে পাবেন না।  তা যেন প্রতিনিয়ত দুরূহ সাধ্য হয়ে যাচ্ছে!

কেন যেন সমাজ ও সামাজিকতা গুলো এমনি এমনি বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে,  সম্পর্ক গুলোতে যেন লোহার মতো করে জং ধরেছে।  সমুদ্র কিংবা নদীর নীলাভ রঙের পানিগুলো কেন যেন ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে,  হৃদয়ের আকাশ কেন যেন নীল থেকে কালো মেঘের  আবরণে অভিনয়ের লীড়ায় লুকিয়ে যাচ্ছে।

আজকাল আমি আপনি কিনবা আমাদের চারপাশের সবাই কমবেশি বিশ্বাস করে প্রতারণার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যার ফলে এখন আর সহজে কেউ কাউকে বিশ্বাসই করতে চায় না,  অথবা করতে পারে না। 

সততা এবং বিশ্বাস নিয়ে উক্তি

হাজার বছরের ভালোবাসা গুলো যেমনি ভাবে টিকে ছিল,  যা আজও মানুষের হৃদয়ে স্পর্শ ও দোলা দিয়ে যায়।  সেই ভালোবাসা ও সম্পর্কগুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্য অবশ্যই সততা ও বিশ্বাস নিয়ে কাউকে ভালবাসতে শিখুন,  ভালবাসুন। দেখবেন পৃথিবীটা কেন যেন আবার চিরসবুজে সুন্দর আকৃতিতে রূপ দিবে।  সবকিছু মনে হবে বসন্তের ফুল বাগানের ন্যায় নিষ্পাপ ও সুঘ্রানে আবরিত।

সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ হলোঃ  যে মানুষটা আপনাকে বিশ্বাস করে,  আপনার প্রতি যার বিশ্বাসটা জন্ম হয়ে গিয়েছে।  তার বিশ্বাসটাকে ধরে রাখতে শিখুন আজীবন শক্ত করে,  এবং সততার সাথে। নয়তো আপনিও কাউকে বিশ্বাস করে একইভাবে প্রতারিত হবেন,  দুদিন আগে কিংবা পরে তবে অবশ্যই প্রতারণার শিকার হবেন।

মনে রাখুন যে সম্পর্কে বিশ্বাস সততা ও প্রাইভেসি যত বেশি শক্তিশালী,  সেই সম্পর্কটা তত বেশি গভীর হয়ে যায়। যা একবার গড়ে উঠলে, তা ভঙ্গ করা বেশ কঠিন। মূলত এ ধরনের সম্পর্ক চিরকাল টিকে থাকে,  বেঁচে থাকে দুটি হৃদয়ের বন্ধন বসন্তের উজ্জীবিত সবুজ কাননের মতো।

অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে উক্তি

আপনি চাইলেই মানুষের বিশ্বাস নষ্ট করে দিতে পারেন।  এতে আপনার কোন ক্ষতি না হলেও, যে মানুষটা বিশ্বাস করে আপনার কাছে প্রতারিত হলো;  তার হয়তো অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।  এতে করে আপনার প্রতি তার আস্থা টুকু অন্ধবিশ্বাসে রূপ নিবে। যা সম্পর্ক নষ্ট করতে যথেষ্ট। 

জ্ঞানীদের মহামূল্যবান উক্তি হলোঃ  কাউকে ক্ষতি করে,  বা কাউকে আঘাত দিয়ে নিজেকে কখনো ভালো রাখা যায় না।  ভালো থাকা ও যায় না। তাই কাছের মানুষের বিশ্বাসের মর্যাদা দিন,  তাকে ভালোবাসুন।  তার ভালোবাসাকে মূল্যায়ন করুন সঠিক ও যথার্থভাবে।  দেখবেন এই পৃথিবীর প্রত্যেকটি বস্তু আপনার জন্য সুন্দর ও মাধুর্যময়ী হয়ে উঠবে।

বিশ্বাসটুকু এমন ভাবে ধরে রাখুন,  যাতে করে কেউ বলতে না পারে যে আপনাকে বিশ্বাস করে কেউ ঠকেছে।

মনে রাখবেন কাউকে ঠকানোর চেয়ে নিজে ঠকে যাওয়া ভালো।  অন্তত কারো প্রতি বেইমান নামক চরিত্রে উপস্থাপিত হবেন না। 

মুদ্দা কথা হল কারো প্রতি অন্ধ বিশ্বাস করবেন না,  কাউকে অন্ধবিশ্বাসে ডুবিয়ে রাখবেন না।  এত করে আপনি কি!বা বিপরীত পাশের মানুষ যেই ঠকুক না কেন ক্ষতি হবে দুজনেরই। জীবন বিচলিত হবে উভয়ের,  হৃদয়ের মাঝে জোয়ার ভাটার মত ভাঙ্গানোর খেলা শুরু হবে সমভাবে।

আপনি চাইলেও তাকে ঠকিয়ে যেমন সুখে থাকতে পারবেন না,  সে আপনাকে ঠকিয়েও শান্তিতে পৃথিবীর বুকে বসবাস করতে পারবে না। কারণ বিধাতা কারো প্রতি অন্যায় অবিচার করেন না,  উপরওয়ালা সবার প্রতি ন্যায্য ও ন্যায় বিচার করেন।

মনে রাখবেন সবাইকে বিশ্বাস করতে নেই!  কারণ চিনি আর লবণ দেখতে একই হলেও,  স্বাদ কিন্তু সব সময় ভিন্ন রকম হয়। আপনার ভালবাসার বন্ধন ও বিশ্বাসটুকু অটুট থাকুক ভালো থাকুন প্রিয়জনকে ভালো রাখুন। 

বিশ্বাস নিয়ে ইসলামিক উক্তি

ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে ধৈর্যের সাথে বিশ্বাস স্থাপন করা সবচাইতে সাহসিকতা পূর্ণ কাজ।  যে কোন কাজ ও কর্মে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা একান্ত মুমিনের কর্তব্য।  একমাত্র আল্লাহ তা’আলার প্রতি ভরসা বা বিশ্বাস স্থাপন করতেই হবে,  তাহলেই মিলবে ইহকালে শান্তি এবং পরকালে মুক্তি।

সেরকম কিছুই মহান রাব্বুল আলামিন সূরা বাকারার ১৫৩ নং আয়াতে বলেছেনঃ হে মানুষ তোমরা যারা ঈমান এনেছো, পরম ধৈর্য ও খালেস নামাজের মাধ্যমে তোমরা আমার কাছে সাহায্য প্রার্থনা কর। অবশ্যই মহান আল্লাহ তায়ালা ধৈর্যশীল মানুষদের সাথে আছেন। 

এছাড়াও আল্লাহ পাক ১৫৫ নং আয়াতে পুনরায় বলেছেনঃ আমি অবশ্যই ঈমানের দাবিতে তোমাদের পরীক্ষা করব; কখনো ভয় ভীতি দেখিয়ে,  কখনো ক্ষুধা অনাহার এর মধ্যে রেখে,  কখনো বা জান মাল ও ফসলাদির ক্ষতিসাধন করে তোমাদেরকে পরীক্ষা করা হবে। ধৈর্যের সাথে এর মোকাবেলা করে ( এবং আমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে),  তুমি  সেই সকল ধৈর্যশীলদেরকে আমার পক্ষ থেকে জান্নাতের সুসংবাদ দান করো।

সুতরাং প্রতিটি কাজে যেমনি ভাবে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে।  তেমনি তিনি মানুষের হৃদয়ের মধ্যে যেমন সুসম্পর্ক ও ভালোবাসা অর্জনের জন্য বিশ্বাস নামক শব্দের বিস্তার করে দিয়েছেন,  সেই অর্জিত বিশ্বাসটুকু সর্বদা সঠিকভাবে টিকিয়ে রাখতে হবে।  নতুবা ধ্বংস ও বিপদ অনিবার্য।

বিশ্বাস নিয়ে কিছু উক্তি

ভালোবাসা বিশ্বাস নিয়ে কিছু কথা
ভালোবাসা বিশ্বাস নিয়ে কিছু কথা

আপনাকে বিশেষভাবে বলতে চাইঃ প্রতিটি বিশ্বাসঘাতকতা কিন্তু বিশ্বাস দিয়েই শুরু হয়। মনে রাখবেন বিশ্বাস এমন একটা ভয়ংকর জিনিস,  যা দেখা যায় না,  ছোঁয়া যায়না;  তবে একবার হারালে সবকিছুই হারিয়ে যায়।  সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। বিশ্বাসঘাতকতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়টি হচ্ছেই; এটি কখনোই আপনার শত্রুদের কাছ থেকে আসে না,  বরং আসে বিশ্বস্ত আপনজনদের কাছ থেকেই।

অধিকাংশ জ্ঞানীগুণীদের ধারণা,  সূত্র ছাড়া যেমন বীজগণিত করা যায় না।  তেমনি বিশ্বাস ছাড়া সম্পর্ক তৈরি করা যায় না। মনে রাখবেন হারিয়ে যাওয়ার সূর্যকে ফিরে পেতে ১২ ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পারে,  কিন্তু হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাস সারা জীবন অপেক্ষা করেও ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।

পৃথিবীর সকল সম্পর্কের মধ্যে একটা শব্দ থাকে,  সেটি হল বিশ্বাস। সর্বদা মনে রাখবেন হিংসার ত্যাগ করতে গেলে সবচেয়ে আগে প্রয়োজন হয় অপরের প্রতি ভালোবাসা আর বিশ্বাসের। 

একটা কথা কখনোই ভুলবেন না,  নিঃশ্বাস হারালেই দেহের মৃত্যু হয়।  কিন্তু যদি বিশ্বাস হারায় তাহলে মনের মৃত্যু হয়। বলতে পারেন বিশ্বাস আর নিঃশ্বাস অনেকটাই একটি আরেকটি সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ,  অর্থাৎ দুটোই চলে গেলে আর ফিরে আসে না।

সতর্ক থাকতে হবে কারণ একবার বিশ্বাস অর্জন করতে বছরের পর বছর সময় লেগে যায়।  কিন্তু এই বিশ্বাসটুকু হারাতে এক সেকেন্ডও লাগেনা। আজকাল চারিদিকে যেমন অবিশ্বস্ত মানুষের হাহাকার চলছে,  অন্ধবিশ্বাসের পরিণামে প্রতারণার শিকারের মানুষ দুর্বিষহ হয়ে উঠছে।  এরকম এই অচল দুনিয়াতে টাকায় ভরা হাত তার চেয়ে বিশ্বাসে ভরা হাতটা বর্তমানে অনেক বেশি দামি ও মূল্যায়ন করা উচিত।

যদি বিশ্বাস করতেই হয়,  তাহলে এমন কাউকে বিশ্বাস করো যার মধ্যে নীতি আছে যার যার মুখের কথা ও হাতের কাজ একই হয়।  যে কখনো কথাও কাজে বরখেলাপ করে না।  যাকে বিশ্বাস করলে নিশ্চিন্তে তার সাথে সারাটি জীবন পার করা যায়,  সেরকম কাউকেই বিশ্বাস করা উচিত।  সেরকম কারো সাথে পথ চলা প্রয়োজন।  এটি জীবনের দাবি,  সুন্দর ও সুখময়ভাবে  বেঁচে থাকার জোর আবদার।

পরিশেষে বিশ্বাস নিয়ে কিছু কথা বলতে গিয়ে এতোটুকুই বলবো,  কারো প্রতি আস্থা ও নির্ভরশীল হওয়ার আগে সতর্ক থেকো।  কারণ কাউকে অন্ধের মত বিশ্বাস করলে সেই তোমায় অন্ধ ভেবে ঠকিয়ে চলে যাবে,  এটাই পৃথিবীর নির্মম নিয়ম। কিন্তু কাউকে যখন বিশ্বাস করবে,  তোমার প্রতি তার বিশ্বাসটুকু ঠিক ভাবে টিকিয়ে রাখবে।

কারণ সময় নদীর স্রোতের মতো একবার বহমান হয়ে গেলে তার দ্বিতীয়বার ফিরে আসে না,  বন্দুকের গুলি নলা থেকে একবার বেরিয়ে গেলে তা আর ফেরত আনা সম্ভব নয়। সুতরাং বিশ্বাস নিয়ে কিছু কথা ও শিক্ষনীয় বাণী হলোঃ তেমনি ভাবে একবার বিশ্বাস ভঙ্গ হয়ে গেলে তা পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা কোনোকালেই সম্ভব হবে না। ভালো থেকো তাকে ভালো রেখো। শুভকামনা রইলো।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button